• ঢাকা
  • |
  • শনিবার, ১৭ই মে ২০২৫
  • - ৩৩° সে:
Language

প্রিয় প্রবাসী

মৃত্যুর এক বছর পর দেশে এনে দাফন হলো সৌদিপ্রবাসীর মরদেহ

বুনন নিউজ

সোমবার, ৮ই আগস্ট ২০২২

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎপরতায় সৌদি আরব থেকে ৪ আগস্ট দেশে ফিরিয়ে আনা হয় মনির শেখের মরদেহ। ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে তাঁর মরদেহবাহী কফিন ছবি: সংগৃহীত

চলতি মাসের ৩০ তারিখ মনির শেখের মৃত্যুর এক বছর হবে। গত বছর সৌদি আরবের আল কাসিম প্রদেশে মেস বাসায় মারা যান মনির। মৃত্যুর প্রায় এক বছর পর ৪ আগস্ট দেশে ফিরেছে প্রবাসী এই শ্রমিকের মরদেহ। সৌদি আরবের আল কাসিম প্রদেশের বুরাইদাহ শহর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আনা হয় তাঁর মরদেহবাহী কফিন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাতে মরদেহ বুঝে নেন মনিরের স্বজনেরা। মরদেহ খুলনার তেরখাদায় গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায় শুক্রবার সকালে।

তেরখাদা ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন হয় মনির শেখের। এক বছর ধরে বিদেশে হিমঘরে থাকা মরদেহটি শেষবারের মতো দেখতে পেয়েছেন স্ত্রী-সন্তানেরা। জানাজায় উপস্থিত হয়েছেন তেরখাদার চেনা-অচেনা অনেক মানুষ। মনির শেখের বৃদ্ধ বাবা হামিদ শেখ কোনো কথা বলেননি। সন্তানের জন্য দুই হাত তুলে মোনাজাত করে অঝোরে কেঁদেছেন। সন্তানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে এক বছর ধরে বাক্‌শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন এই বাবা।  

রেমিট্যান্স যোদ্ধা যাঁদের বলা হয়, তেমন একজন শ্রমিকের মরদেহ এক বছর ধরে বিদেশে থাকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ৯০ দিনের ‘ফ্রি ভিসায়’ সৌদি আরব যাওয়ায় মনির শেখের মরদেহ দেশে পাঠানো নিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের দায় ছিল না। এদিকে মৃত্যুর খবরের পর খুলনার তেরখাদার উত্তরপাড়ার এ পরিবারটি বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় বা দূতাবাসে যায়নি। গত ৩১ জুলাই প্রথম আলোয় মনির শেখের মরদেহ বিদেশের হিমঘরে পড়ে থাকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

৩ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মনির শেখর মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া কয়েক মাস ধরেই চলছে। এ বছরের মে মাসে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস প্রথম জানতে পারে, মরদেহটি এখনো দেশে পাঠানো হয়নি।